মাস্কাট, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩:
বাংলাদেশ দূতাবাস, মাস্কাট এ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়েছে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নাজমুল ইসলাম মহোদয় এর সভাপতিত্বে মাস্কাটে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সূচনাতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এরপর দূতাবাসের শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে পবিত্র কোরআন, পবিত্র ত্রিপিটক ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় ওমানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সকল ভাষা শহিদদের ও ভাষা অন্দোলনের সৈনিকদের। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে 30 লক্ষ শহীদ, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন অমর একুশে বাঙালির জাতীয় জীবনে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। দিনটি একই সাথে শোকের ও গৌরবের যার পথ ধরে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করেছি। ১৯৯৯ সালে ২১ শে ফ্রেব্রুয়ারি কে জাতিসংঘের UNESCO কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা বাঙালি জাতির গৌরবময় সংগ্রামের ইতিহাসে আর একটি নতুন মাত্রা যোগ করে। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সবাইকে অনুরোধ জানান এবং সকল ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও বাংগালি জাতির সমস্ত অর্জন ও এর মান বিশ্বের দরবারে আরো সমুন্নোত করতে সবাইকে দেশের কল্যাণে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। পরে ভাষা আন্দোলনের সকল শহদিদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের জন্যে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।