Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 9th August 2020
Press Release

বঙ্গমাতা শেখফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯০তম জন্মাবর্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করল ম্যানচেষ্টারস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন

 

০৮আগস্ট ২০২০:

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯০তম জন্মাবর্ষিকী বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, ম্যানচেষ্টারে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।

 

দূতাবাসের প্রথম সচিব মাহমুদা খানমের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯০তম জন্মাবর্ষিকী উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ করে শোনানো হয়।

 

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে মান্যবর সহকারী হাই কমিশনার ও দূতাবাসের অন্যান্য সদস্যগণ বঙ্গমা তার কর্মময় জীবনের উপর স্বতস্ফূর্তভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

 

সহকারী হাই কমিশনার জনাব আবু নসর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে এই শোকাবহ আগস্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর কর্মময় জীবন সম্বন্ধে স্মৃতিচারণ করে সহকারী হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামে, দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গমাতার অপরিসীম আত্মত্যাগের জন্য। তিনি ছিলেন জাতির পিতার জীবনে শাশ্বত অনুপ্রেরণার উৎস। দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে তার জীবনের সুদীর্ঘ ১২ বছর কারাবন্দী থাকতে হয়েছে। এই কঠিন বাস্তবতায় বঙ্গমাতা একাই সংসারের ভার বহন করেছেন, ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন এবং আওয়ামীলীগকে সাংগঠনিক ভাবে পরিচালিত করেছেন। ৬ দফা ও ১১ দফার আন্দোলন এবং পরিশেষে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ অনিশ্চিত সময়ে সংসার এবং রাজনৈতিক দল - বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরিচালনায় সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা যথার্থই ত্যাগ ও সুন্দরের সাহসী প্রতীক ছিলেন। বাঙ্গালী জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর এবং বাঙ্গালীর মুক্তিসংগ্রামের সহযোদ্ধা হিসাবে তিনি ছিলেন বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য কারিগর। সহকারী হাই কমিশনার তার বক্তব্যে আরো বলেন, দেশ ও জাতির জন্য তার এই অপরিসীম ত্যাগ, অসামান্য অবদান প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্মরণ করবে শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় ও আন্তরিকতায়।

 

অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখফজিলাতুন নেছামুজিব-এর উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

 

বঙ্গমাতার জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, যথাযথ স্বাস্থ্য সতর্কতা গ্রহণ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

2020-08-08
Download