ব্যাংকক, ০৪ নভেম্বর ২০২৩:
বাংলাদেশ দূতাবাস, ব্যাংকক আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় সংবিধান দিবস ২০২৩’ উদযাপন করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের
অংশগ্রহণে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনা, সংবিধানের বর্ণনা’ প্রতিপাদ্যে আলোচনা পর্বে ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মিজ মালেকা পারভীন, এনডিসি এবং কাউন্সেলর (ইকনোমিক) জনাব সারোয়ার আহমেদ সালেহীন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মিজ মালেকা পারভীন, এনডিসি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের পটভূমি,রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং বর্তমান প্রজন্ম এর কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সংবিধান চর্চার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি সংবিধানের ২১ (২) নং অনুচ্ছেদটি উল্লেখ করে এর আলোকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সকলকে জনগণের সেবা করার আহবান জানান। কাউন্সেলর (ইকনোমিক) জনাব সারোয়ার আহমেদ সালেহীন সংবিধান রচনার প্রেক্ষাপট, এর মূলনীতি ও এগারটি ভাগের বিভিন্ন দিক সহ রাষ্ট্রের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ আব্দুল হাই তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতীয় সংবিধান দিবস উদযাপন করতে পেরে আমরা জাতি হিসেবে গর্ববোধ করছি। তিনি আরো বলেন, ১৯৪৭ পরবর্তী পাকিস্তান একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে প্রায় ৯ বছর সময় নিয়েছিল; কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার আলোকে স্বাধীনতার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদেরকে একটি সুলিখিত শাসনতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। এছাড়া, তিনি সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে বর্তমান বাস্তবতায় সেগুলির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জরুরি বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকল নাগরিকের অংশগ্রহণ ও সুরক্ষার বিধান রেখে, বিশেষ করে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণে প্রথম থেকেই নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, একটি যুগোপযোগী সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান জনাব মোঃ মাসূমুর রহমান।