১৮ অক্টোবর ২০২২, স্টকহোমঃ
যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ প্রতিপাদ্যের আলোকে স্টকহোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উদযাপিত হয়েছে । দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও ছড়া/কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন ও প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং শেখ রাসেলের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন।
অনুষ্ঠানের প্রথমভাগে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও দ্বিতীয়ভাগে ছড়া/কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় । অনুর্ধ্ব ১২ বছর বয়সী শিশু এবং ১২+-১৮ বছর বয়সী শিশু-কিশোররা দুটি বিভাগে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং শেখ রাসেলের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় । রাষ্ট্রদূত মেহ্দী হাসান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, শৈশব থেকে দূরন্ত প্রাণবন্ত সকলের আদরের ছোট শিশু শেখ রাসেল ছিল অত্যন্ত বিনয়ী ও পরোপকারী। বিভিন্ন বর্ণনায় শিশু শেখ রাসেলের যে আদর্শ চারিত্রিক বৈশিষ্টের রূপ পাওয়া যায়, তা সকল শিশু-কিশোর-এর জন্য আদর্শ। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে কোমলমতি শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ রাসেল আজ বিশ্বে অধিকার বঞ্চিত শিশুদের প্রতীক ও মানবিকসত্ত্বা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে।
এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ছড়া/কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সকলকে এবং বিজয়ীদেরকে পুরস্কার প্রদান করেন । পরিশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।