ম্যানচেষ্টার, ০৫ আগস্ট ২০২৩ঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলাদেশের তারুণ্যের প্রতীক, যুব সংগঠক এবং ক্ষণজন্মা নেতৃত্ব প্রদানকারী যুবক শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় ও গর্বের সাথে ম্যানচেষ্টারে বসবাসরত বাংলাদেশীরা স্মরণ করলেন। বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, ম্যানচেষ্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ কামালের ছাব্বিশ বছরের জীবনে তার অনন্য অর্জন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, ক্রীড়া সংগঠন, সাংস্কৃতিক বিকাশে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের যুব নেতৃত্ব প্রদানে তার ভ‚মিকার বিষয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।
বৃহত্তর ম্যানচেষ্টারে বসবাসরত বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণে বাংলাদেশ সহকারী হাই-কমিশন, ম্যানচেষ্টার কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, মুক্ত আলোচনা এবং পরিশেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার স্মরণে প্রথমবারের মতো ম্যানচেষ্টারে আয়োজিত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সহকারী হাই-কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান প্রথমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে উল্লেখ করেন যে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ শেখ কামালের সক্রিয় অংশগ্রহণ যুব সমাজ-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদানে অন্যতম ভ‚মিকা রেখেছিল। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের রোল মডেল শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠকের ভ‚মিকা পালন করেছেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে দেশের অন্যতম ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সংগঠকে পরিণত হয়ে শেখ কামাল বাংলাদেশের তরুনদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিলেন। আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও ঢাকা থিয়েটার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছিল। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, ক্রীড়া কার্যক্রম আয়োজনের মাধ্যমে শেখ কামালের জীবন, নেতৃত্ব এবং দর্শন বর্তমান প্রজম্মের বৃটিশ-বাংলাদেশীদের মাঝে আরো নিবিড়ভাবে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। অনুষ্ঠানের শেষে শেখ কামালের ৭৪-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
সবশেষে ১৫ই আগস্টে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।