নিউইয়র্ক, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩:
গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় অগ্রাধিকার দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন, এমপি। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এ আহবান জানান।
বাংলাদেশ, আর্জেন্টিনা ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের যৌথ আয়োজনে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের (International Seabed Authority) সেক্রেটারি জেনারেল মাইকেল ডব্লিউ লজ (Michael W. Lodge) এবং টোঙ্গার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফেকিটামোলা উটোইকামানু (Fekitamoeloa 'Utoikamanu)। সভায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন কুক আইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক ব্রাউন (Mark Brown)। সভায় বেশ কিছু দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কীভাবে জাতিসংঘ উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্যসমূহ অর্জন আরো ত্বরান্বিত করতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার উদ্দেশ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গভীর সমুদ্রের জীববৈচিত্র, এর সম্পদরাজি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা জাতিসংঘ উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্যসমূহ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য গভীর সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য এবং এর সম্পদরাজির টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে আমাদের প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘গভীর সমুদ্র আমাদের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এই গভীর সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনায় বৈজ্ঞানিক গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত একটি “গ্লোবাল কল”-এ যোগদান করে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গভীর সমুদ্র বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা এবং অজানা তথ্য অবহিত করাসহ অন্যান্য বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।