16 ডিসেম্বর 2022:
পোল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে মহান বিজয় দিবসের কার্যক্রম উদযাপন করে । অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদুত মিজ্ সুলতানা লায়লা হোসেন জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় পরিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে।এ পর্বে অনুষ্ঠানে পোল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী এবং পোল্যান্ডের বিশিস্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন । এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয় । পরবর্তীতে বিজয় দিবসের তাৎপর্যের উপর এক দীর্ঘ আলোচনা সভা অনুস্ঠিত হয় ।
বক্তাগণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বিদেশে অবস্হান করেও দেশের প্রতি তাদের অন্গীকারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন ।
মান্যবর রাস্ট্রদূত মিজ্ সুলতানা লায়লা হোসেন বিজয় দিবসের মাহাত্ম, এই দিবসের তাৎপর্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরা এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে পথ চলা, বিশেষকরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের তাদের সন্তানদের দেশীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে সন্তানদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান । রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতির বিষয়ে আলোকপাত করেন। মান্যবর রাস্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যংকের মাধ্যমে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরনের প্রয়োজনীয়তা, নিরাপত্তা এবং ব্যংকের মাধ্যমে অর্থ প্রেরনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ মুক্তিযুদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরাবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আগত অতিথিদের দেশীয় খাবাররের সমন্বয়ে নৌশভোজ পরিবেশন এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি হয়।