ঢাকা, ১৬.০৫.২০১৯:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের জন্য আশীর্বাদ। তাঁকে মারার জন্য কমপক্ষে ২৩বার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে, কেউ যেন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কোন ক্ষতি করতে না পারে। শেখ হাসিনা টিকে থাকলে আমরা উন্নয়নের সকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নেতৃত্বের দৃঢ়তার কারণে এ সাফল্য এসেছে। এজন্য তিনি চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন আজ ঢাকায় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। মাথাপিছু আয় গত কয়েক বছরে কয়েকগুণ বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০গুণ বেড়েছে। বর্তমান অতিদারিদ্রের হার শতকরা ১১ ভাগ। আগামী পাঁচ বছরে তা শতকরা পাঁচভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
ড. মোমেন বলেন, ৩টি বিষয়ে শেখ হাসিনার অবদান অসামান্য- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আইন সকলের জন্য সমান। তবে এদেশে ইনডেমনিটি আইন পাশ করে আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছিল। প্রাধানমন্ত্রী এ আইন বিতাড়ন করেন। যারা খুনী তারা শাস্তি পাচ্ছে। যারা আইনের বিপক্ষে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করছেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু একডেমীর সহ-সভাপতি শেখ ইকবাল খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম ও রলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির মিজি ।