বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন করাচি বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৩০ মে ২০২৩ তারিখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২-তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪-তম জন্ম বার্ষিকীতে রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী-২০২৩ উদযাপন করেছে। রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবনে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আলোকে সুসজ্জিত করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গ, করাচিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং করাচিস্থ নজরুল একাডেমির শিল্পীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম সচিব জনাব মোঃ আরিফ এলাহী এর সঞ্চালনায় এবং উপ-হাইকমিশনার জনাব এস.এম. মাহবুবুল আলমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী-২০২৩ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয়।
স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই উপ-হাইকমিশনার জনাব এস.এম. মাহবুবুল আলম গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহিদ, সম্ভ্রমহারা দুই লক্ষ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন বিশ্বসাহিত্যে বাংলা ভাষাকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্ব্কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁদের সৃষ্টিকর্ম বাংলা সাহিত্য-সম্ভার ও সংস্কৃতিকে বিপুলভাবে সমৃদ্ধ করেছে।
উপ-হাইকমিশনার উল্লেখ করেন যে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের নিজেদের অমর সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশের ক্ষেত্রেই শুধু নয়, বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমাদের আত্মপরিচিতি গড়ে তুলতেও অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যবাদী চেতনার আঁধার’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি দেশাত্ববোধক, জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে সকলকে আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুরই দেখানো পথেই বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ, শিক্ষিত ও সাংস্কৃতিমনা জাতি গঠনে এবং স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বির্নিমানে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবনের সম্মেলন কক্ষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বের প্রথমেই উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারর্গের সমন্বয়ে সমবেত কন্ঠে একটি করে রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল সংগীত পরিবেশন করা হয়। অতঃপর করাচিস্থ নজরুল একাডেমি এবং স্থানীয় শ্ল্পিী ও কলাকুশলীরা নজরুল সংগীত ও রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ সকলে নৈশভোজে অংশগ্রহন করেন।