Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 9th August 2022
Press Release

বাংলাদেশ দূতাবাস, বুখারেস্ট-এ “বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী” উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা।

 

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, বুখারেস্টে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ দাউদ আলী । দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারী ও আগত অতিথিদের নিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব -এর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। অতঃপর দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গভবন থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

 

মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল প্রবাসিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯২তম জন্মবার্ষিকীর এবারের প্রতিপাদ্য-‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা;অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’। তিনি তাঁর  সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরে বলেন ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা। যে-কোন পরিস্থিতি তিনি বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য ও সাহস দিয়ে মোকাবিলা করতেন। তিনি কেবল জাতির পিতার সহধর্মিনী ছিলেন না, বাঙালির মুক্তিসংগামেও তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রদূত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সাফল্যে বঙ্গমাতা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রায়ই কারাগারে বন্দী থাকতেন। এই দুঃসহ সময়ে তিনি হিমালয়ের মত অবিচল খেকে একদিকে স্বামীর কারামুক্তিসহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছেন; অন্যদিকে সংসার , সন্তানদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়ে স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।  ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বিপথগামী সেনা সদস্যদের দ্বারা বঙ্গবন্ধুর সাথে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ শাহাদৎবরন করেন।  

 

তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার নির্দেশিত পথে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।  তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রবাসি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান। সবশেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারবর্গ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

 

ঊক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অত্র দূতাবাসের তৃতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান জনাব শেখ কৌশিক ইকবাল।

2022-08-08
Download