চেন্নাই, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩:
যথাযোগ্য উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন, চেন্নাই ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদ্যাপন করেছে। চেন্নাইতে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনসমূহ এবং Tamil Nadu Art & Cultural Department-এর সাথে বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন যৌথভাবে Kamrajar Arangam মিলনায়তনে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এছাড়াও চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে উপ-হাই কমিশনার, জনাব শেলী সালেহীন স্বাগত বক্তব্য রাখেন যেখানে তিনি বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও সংস্কৃতির গঠনে বাংলা ভাষার প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাষা শহিদগণ এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি ভাষার সুরক্ষা ও প্রসারে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ভাষাসমূহের সংরক্ষণের উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
চেন্নাইস্থ শ্রীলঙ্কা, জাপান, মালয়শিয়া ও ফ্রান্স এর কন্সুলেট/ উপ-হাই কমিশন এবং Tamil Nadu Art & Cultural Department ও Government Fine Arts College-এর অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ করিয়া, শ্রীলংকা, জার্মানি, মালয়শিয়া, রাশিয়ার কনসাল জেনারেল সহ বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিক, ড. এম এম রাজেন্দ্রান, প্রাক্তন গভর্নর, তামিল নাডু সরকারের মুখ্য সচিব জনাব বি চান্দ্রমাহান, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, চেম্বার প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে উপ-হাই কমিশন প্রাঙ্গণে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। মহান ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন। এরপর, জাতীয় জীবনে ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”- এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনায় বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ পুনর্গঠন ও বিনির্মাণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের ওপর আলোকপাত করা হয়। এসময়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত দৃশ্যমান আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ওপর বিশেষ আলোকপাত করা হয়। বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্ত হয়।