সিট্যুয়ে, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২:
বাংলাদেশ কনস্যুলেট সিট্যুয়ে, যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপন করেছে। দুই পর্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে মিশন প্রধান জাকির আহমেদ ও কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগন সকালে জাতীয় সঙ্গিতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ০১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর মিশনের কর্মকর্তাগণ মহান দিবস উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি প্রামান্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
কনস্যুলেটের মিশন প্রধান জাকির আহমেদ এবং প্রথম সচিব মোঃ শরীফুল্লাহ আল মাহমুদ দিবসটি উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন। মিশন প্রধান, জাকির আহমেদ তাঁর বক্তব্যে দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে স্বাধীনতার চেতনাকে বুকে ধারন করে দেশের অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এরপর মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শাহাদাত বরনকারী অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত সুখ সমৃদ্ধির কামনায় বিশেষ মোনাজাতের করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে, পরদিন সন্ধ্যায় কনস্যুলেট একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সিট্যুয়েস্থ আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ ও রাখাইনের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রাখাইন শিল্পীগন নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া, সিট্যুয়ে কনস্যুলেট কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের নৈশভোজের মাধ্যমে আপ্যায়িত করা হয়।
গৃহযুদ্ধ ও অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যেও আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় কন্স্যুলেটের কূটনীতিকবৃন্দ, রাখাইন স্টেটের সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক, রাখাইন স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, রাখাইন স্টেট চেম্বার অব কমার্স-এর সভাপতিসহ রাখাইনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষে মিশন, সিট্যুয়ের সাগর সৈকতে স্থানীয় ছাত্রছাত্রী, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিজয় মিনি ম্যারাথনের (Victory Run) আয়োজন করে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সাগর সৈকতে পরিচ্ছন্নতা (Beach Cleaning Campaign) অভিযানে অংশ গ্রহন করে।