বাহরাইন, ১৮ অক্টোবর ২০২২ঃ
বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা আজ ১৮ অক্টোবর স্থানীয় সময় বিকাল ৪:০০ ঘটিকায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এঁর ৫৯ জন্মদিন এবং ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর উপর বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এঁর ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় জন্মগ্রহণ করে। রাসেল নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই রেখেছিলেন তাঁর প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে। বঙ্গবন্ধুকে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে কারাগারে। যেকারণে শিশু রাসেল পিতার সান্নিধ্য ও আদর থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো শেখ রাসেলও ছিলেন সহজ-সরল ও অত্যন্ত বিনয়ী।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, শিশু রাসেলের জীবন সর্ম্পকে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছর তাঁর জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো পালিত ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ এর প্রতিপাদ্য হলো ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’। এই কমোলমতি শিশু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে ঘাতকচক্রের হাতে শহিদ হন। সেদিন ঘাতকের বুলেট যে কোমলমতি শিশুটির প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল, সে ছিল নির্দোষ-নিস্পাপ। শেখ রাসেল যদি আজ বেঁচে থাকতো, তাহলে হয়তো আমরা পেতাম একজন দূরদর্শী আর্দশ নেতা, যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি আজ গর্ব করতো। এছাড়া, তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে দল ও মতের বিবেদ ভূলে একযোগে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বির্নিমানে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
এ দিবস উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত ইসলাম রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীগণ, বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকগণ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।