আঙ্কারা, ১৭ মার্চ ২০২৩:
বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। সকালে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং দূতাবাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরবর্তী দিন বিকালে দূতাবাসের বিজয়-৭১ মিলনায়তনে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে দূতাবাসের ফয়ারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে “বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু” এই বিষয়ের উপর ১৮ জন শিশু ”চিত্রাংকন” ও “যেমন খুশী তেমন সাজো” প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত শিশুদের নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই কুরআন থেকে তিলওয়াত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মোঃ রাশেদ ইকবাল, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক পেরিত বাণী পাঠ করেন দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী-এর বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উইংয়ের সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ ফরহাদ হোসেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত একটি বিশেষ ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শিত হয়। অত:পর আলোনায় অংশগ্রহন করেন তিন জন প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা। প্রবাসী বাংলাদেশি লেঃ কর্নেল (অবঃ) নাছির হায়দার তাঁর স্মৃতিচারণামূলক বক্তব্যে ১৯৭৫ সালের ১৭ই মার্চ গনভবনে বঙ্গবন্ধুর শেষ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধু-কে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছড়া, কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন। অতপরঃ রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের সকলের মাঝে ”চিত্রাংকন” ও “যেমন খুশী তেমন সাজো” প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত হক তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘটনাবহুল জীবনের বিবরণ তুলে ধরেন। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর শিশুদের প্রতি ভালবাসার বিভিন্ন স্মৃতির কথা উল্লেখ করে বলেন বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ছিলেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব গুন ও তাঁর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়েসী প্রশংসা করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে, আগত তুর্কিশ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশের চিরাচরিত খাবার পরিবেশনের ভিতর দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।