ওয়ারশ, ১৫ আগস্ট ২০২৩:
বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়ারশ, পোল্যান্ড বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। অনুষ্ঠানটি দুই পর্বে বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন এবং দ্বিতীয় পর্বে ছিল প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহনে আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রথম পর্বে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এর মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের দ্বিতীয় পর্ব আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার গৌরবোজ্জ্বল কর্মময় জীবনের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র “বাঙালির কালরাত” প্রদর্শিত হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পোল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
জাতির পিতার মহতী জীবন ও কর্মের উপর বিশেষ আলোচনা পর্বে আলোচকগণ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের এবং শহীদ সদস্যদের স্মরণ করেন এবং জাতির পিতার ঐতিহাসিক অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। আলোচকগণ জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে সম্পৃক্ত হবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতীক, বাংলাদেশের স্থপতি। বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন তিনি স্বাধীনতা লাভের পর ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তিও রচনা করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর রাষ্ট্রনীতি ও কূটনৈতিকি জ্ঞান তাঁকে বিশ্বের দরবারে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার মর্যাদায় আসীন করেছে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে ধারণ করে দেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ হতে প্রত্যেকে আহ্বান জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষভাগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার ও অন্যান্য শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আগত অতিথিবৃন্দ-কে নৈশভোজে আপ্যায়ন এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।