মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা – এই প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের একমাত্র দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী।
স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠান। এ সময় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা। বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠের পর তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দৃঢ়চেতা, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আর অপরিসীম রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অধিকারী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবনের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা তাঁর বক্তব্যে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু সংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গমাতার অবদানের কথা আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন সময়ে নিজে দৃঢ় ও অবিচল থেকে বঙ্গবন্ধুকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর পরামর্শ নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করেছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধুকে আত্মজীবনী রচনার জন্য অনুপ্রেরণার মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রেও বঙ্গমাতার অবদান অনস্বীকার্য।
নিরহংকার, পরোপকারী ও আদর্শ বাঙ্গালী মায়ের চিরন্তন প্রতিচ্ছবি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবনাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন প্রজন্মের সম্মিলিত প্রয়াসে দেশমাতৃকার কল্যাণ সাধিত হবে – রাষ্ট্রদূত এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।