মানামা, বাহরাইন, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
বাংলাদেশ দূতাবাস, মানামা আজ ১৮ অক্টোবর স্থানীয় সময় বিকাল ৩:৩০ ঘটিকায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলর ৬০তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর উপর বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস তাঁর বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে এবং তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলকে স্মরণ করেন এবং তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। রাসেল নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই রেখেছিলেন তাঁর প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে। বার্ট্রান্ড রাসেল একদিকে ছিলেন দার্শনিক, গবেষক, বিজ্ঞানী ও পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার বিরোধী যা বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু তাঁরই মহৎ গুনাবলীতে অনুপ্রানিত হয়ে তাঁর নামেই আদরের শিশু পুত্রের নাম রেখেছিলেন।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মহিউদ্দিন কায়েস আরোবলেন, শেখ রাসেল ছিলেন সহজ-সরল, অত্যন্ত বিনয়ী, মানবিক ও ক্রীড়াপ্রেমী। শৈশব থেকেই দূরন্ত, প্রাণবন্ত শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের অতি আদরের। ৭৫-এর ঘাতকেরা তাকেও রেহাই দেয়নি। আজ তিনি বেচে থাকলে, আমরা নিঃসন্দেহে একজন দূরদর্শী নেতা পেতাম। দেশের শিশু-কিশোর তথা তরুণ প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেল এক ভালোবাসার নাম।শিশু-কিশোর ও বর্তমান প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেলের গুণাবলীসমূহ স্মরণীয় করে রাখতে সরকার প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, শেখ রাসেল স্পোর্টস ক্লাব এবং শেখ রাসেল শিশু পরিবার।
জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশ ও বিশ্বের নিপীড়িত জনতার প্রেরণার উৎস হিসেবে সবসময়ই দীপ্তিমান থাকবে মর্মে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এছাড়াও, তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণ ও দল-মতের উর্দ্ধে উঠে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বির্নিমানে একযোগে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
দিবসটি উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল-এর জীবনীর উপর শিশু-কিশোরদের মাঝে বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। পরিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের এবং স্বাধীনতা অর্জনে যারা শাহাদাত বরণ করেছে সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীগণ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।