লস এঞ্জেলেস, ১৫ মে ২০২২
লস এঞ্জেলেসস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ১৫ মে ২০২২-এ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচির মাধ্যমে ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট ভবনকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয় এবং দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিশেষ করে পিঠা, মিষ্টি ও বিভিন্ন পন্যের প্রদর্শনীর আয়োজন কর হয়।
অনুষ্ঠানে লস এঞ্জেলেস কাউন্টির Chief of Protocol, লস এঞ্জেলেসে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেটের প্রতিনিধি, সাবেক কংগ্রেসম্যান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানিত সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুনসহ বিদেশী অতিথি, বাংলাদেশ কমিউনিটি ও কনস্যুলেটের সদস্যদের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। দেশীয় ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার ও পন্য দ্বারা সজ্জিত স্টলগুলোতে বিদেশী অতিথিদেরকে স্বাগত জানানো হয় এবং তাদেরকে বিভিন্ন প্রকারের পিঠা ও মিষ্টি দ্বারা আপ্যায়িত করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পী ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে লস এঞ্জেলেস কাউন্টির Chief of Protocol বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলকে একটি Certificate of Appreciation হস্তান্তর করেন। তিনি বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সবাইকে ঈদ-উল-ফিতর ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বাংলা নববর্ষের গুরুত্ব ও তাৎপর্য্যরে উপর সংক্ষেপে আলোচনা করেন এবং বলেন যে, পহেলা বৈশাখ বাঙালী জাতির চিরায়িত প্রানের উৎসব, যেখানে দুঃখ-জরা,ব্যর্থতা ও মলিনতা ভূলে জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একসাথে অত্যন্ত আনন্দচিত্তে দিনটি উদযাপন করে থাকে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন যে, জাতির পিতার রাষ্ট্র দর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশী সংস্কৃতির বিকাশ ও অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চেতনার উম্মেষ। বাংলা নববর্ষের এ মাহেদ্রক্ষণে সকলকে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা জন্য তিনি বিদেশী অতিথিসহ সকল অতিথিবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরিশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে বিভিন্ন প্রকার ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে আপ্যায়িত করা হয়।