০৮ আগস্ট ২০২৩ঃ
’সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আজ (০৮ আগস্ট ২০২৩) যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর দিবসটির তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতার প্রেরণা ও বহুমাত্রিক অবদান তুলে ধরে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাঁর সূচনা বক্তব্যে বঙ্গমাতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টির উপর আলোকপাত করেন এবং বাঙালীর সূদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গমাতা যে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন তা বিবৃত করেন। তাঁর ত্যাগ-তিতিক্ষা, ধৈর্য্য, সহনশীলতা, দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি ভালবাসা ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে বলে কনসাল জেনারেল যোগ করেন। বঙ্গমাতার আদর্শ ও চেতনা, ত্যাগ ও সংগ্রাম সকলের জন্য বিশেষ করে নারীদের জন্য এক অবিরাম অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে- উল্লেখপূর্বক তিনি সকলের কাছে তা তুলে ধরার উদাত্ত আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।