লন্ডন, ২৪ জুলাই২০২০:
গতকাল বৃহস্পতিবার ২৩ জুলাই কাতার এয়ারওয়েজ লন্ডন থেকে ঢাকাগামী ব্রিটিশ-বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে কোনো কারণে বোর্ডিংপাস দেয়নি বলে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে আজ যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের বক্তব্য নিম্নরুপঃ
বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন গত মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশগামী বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি দৈত্ব নাগরিক (এনভিআরসহ) যাত্রীদের দেয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ঘোষণা পত্র সত্যায়ন করে দিচ্ছে। এ সত্যায়িত ঘোষণা পত্রটি নিয়ে বাংলাদেশগামী যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমান, কাতার এয়ারওয়েজ ও এ্যামিরেটস এয়ারওয়েজ সহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে গত মার্চ ও জুন-জুলাই মাসে বাংলাদেশে গিয়েছেন এবং এ সত্যায়িত ঘোষণা পত্রটি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও ঢাকা বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছেও গৃহীত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারওয়েজ হঠাৎ করে কী কারণে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে বোর্ডিং পাস দেয়নি, বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন সে বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের স্থানীয় অফিসের কাছে জানতে চেয়েছে। ইতোমধ্যে অন্যান্য এয়ারলাইন্স কোভিড সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সনদের জন্য নতুন কোন নীতিমালা গ্রহণ করেছে কি-না সে বিষয়েও হাইকমিশন তথ্য সংগ্রহ করছে। যথাসময়ে হাইকমিশনের ওয়েবসাইট ও ফেইসবুকের মাধ্যমে সেসব তথ্য সবাইকে জানানো হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন বিমান যাত্রীদের পরামর্শ দিচ্ছে যে, যারা কাতার সহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছুক তারা যেন টিকেট ক্রয়ের সময় নিজ দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স থেকে যাবতীয় শর্তাবলী যথাযথ ভাবে জেনে নেন যাতে ভ্রমণের সময় তাদের কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয়।
উল্লেখ্য, কিছু সংবাদ মাধ্যম লন্ডন হাইকমিশন ‘‘হেলথ সার্টিফিকেট” ইস্যু করেছে বলে যে খবর প্রচার করেছে, তা সঠিক নয়। হাইকমিশন থেকে কোনো যাত্রীকে এ ধরনের হেলথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়নি। শুধুমাত্র বাংলাদেশ গামীযাত্রীদের নিজস্ব স্বাস্থ্য বিষয়ক ঘোষণা পত্র সত্যায়ন করে দেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং এ সত্যায়িত ঘোষণা পত্র নিয়ে যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে আগের মতোই ভ্রমণ করছেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন আরো জানাতে চায়, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে কাতার এয়ারওয়েজর বোর্ডিংপাস না-দেয়ার বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। এর সাথে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন কর্তৃক সত্যায়িত বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি দৈত্ব নাগরিক যাত্রীদের দেয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক ঘোষণা পত্রের গ্রহণযোগ্য তার অথবা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিমান যোগাযোগ অব্যাহত থাকার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।