২৮ মে ২০২৩, আবুধাবি:
আজ বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবি প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংক লি, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুল, সরকারী সফরে আগত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত নির্বাচন কমিশন টীমের সদস্যগণ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় । এরপর, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয় এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উক্ত দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান। অতঃপর, বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, জীবনব্যাপী আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম নিয়ামক ছিল শান্তির স্বপক্ষে কাজ করা। এজন্যই, তরুণ বয়সে তিনি কলকাতার দাঙ্গা হতে মানুষকে উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। শান্তির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি পাকিস্তানের কারাগারে নির্যাতন ভোগের পরেও বলেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশ সকলের সাথেই সুসম্পর্ক রাখবে। শান্তির এই প্রতিপাদ্যই বঙ্গবন্ধুকে পৃথিবীর সকল মুক্তিকামী মানুষদের সমর্থন করতে ও শোষিত মানুষদের পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করতে সর্বদা উৎসাহ দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্য সমাপ্ত করেন।
পরিশেষে, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং প্রার্থনা শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।