হংকং, ২৬ মার্চ ২০২৩:

আজ ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, হংকং কর্তৃক কন্‌স্যুলেট প্রাঙ্গনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩’ উদ্‌যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে কন্‌স্যুলেটের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কন্‌স্যুলেটের কনসাল জনাব জাহিদুর রহমান। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

কনসাল জেনারেল মিজ্‌ ইসরাত আরা কন্‌স্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর কনসাল জেনারেল উপস্থিত সকলকে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-এর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

মান্যবর কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন ৩০ লক্ষ বীর শহীদদের, ২ লক্ষ মা-বোনদের, যারা তাদের সর্বোচ্চ আত্নত্যাগের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। তিনি এই মহান আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা” গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সাথে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্ব দেন। এ লক্ষ্যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকগণকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি ছোট শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।