10 জানুয়ারী 2023:
পোল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কার্যক্রম উদযাপন করে । অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদুত মিজ্ সুলতানা লায়লা হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আলোচনা পর্ব শুরু হয় পরিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে। পোল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী এবং পোল্যান্ডের বিশিস্ট ব্যক্তিবর্গ আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন । এরপর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয় । স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাৎপর্যের উপর এক আলোচনা সভা অনুস্ঠিত হয় । বক্তাগণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লক্ষ শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
মান্যবর রাস্ট্রদূত মিজ্ সুলতানা লায়লা হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ধ্রুপদী বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কি-না। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি- বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।’ ঐতিহাসিক এই দিনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ধরে তার সার্থক উত্তরসূরী ও সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। তিনি আরও বলেন জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মানে প্রত্যেকের অবস্থান হতে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ মুক্তিযুদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরাবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আগত অতিথিদের দেশীয় খাবাররের সমন্বয়ে নৌশভোজ পরিবেশন এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি হয়।