হংকং, ০৫ আগস্ট ২০২২:
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল, হংকং কর্তৃক আজ ০৫ আগস্ট ২০২২ তারিখে কন্স্যুলেট প্রাঙ্গনে উদ্যাপন করা হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে কন্স্যুলেটের হলরুম পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হয়। অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মহোদয়সহ কন্স্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, হংকং শাখার সভাপতি ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব হংকং এর নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ হংকংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কনসাল (শ্রম), জনাব জাহিদুর রহমান। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে মান্যবর কনসাল জেনারেল, মিজ্ ইসরাত আরা, কন্স্যুলেট এর পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত পাঠের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ করেন কন্স্যুলেটের কর্মকর্তাগন। এরপর শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনদর্শন/ স্মৃতিচারনমূলক প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তিতে অতিথিবৃন্দ শেখ কামালের বর্ণাঢ্য জীবন, তাঁর বহুমুখী প্রতিভা, বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর অবদান প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।
মান্যবর কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী এবং অনন্য সংগঠক। তিনি বলেন, দেশ ও সমাজ ভাবনায় শেখ কামাল মাত্র ২৬ বছরের জীবনে বাঙালির সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে এক বিরল প্রতিভাবান সংগঠক ও উদ্যোক্তা হিসেবে অসামান্য উচ্চতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধে শেখ কামালের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা, ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান সম্পর্কে কনসাল জেনারেল বিশদ আলোচনা করেন। তিনি আরো বলেন, শেখ কামালের জীবনদর্শন আমাদের প্রত্যেকের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরনীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ কামাল ও তাঁদের পরিবারের শহীদ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আগত অতিথিদেরকে আপ্যায়ন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।