নাইরোবি ১৫ আগষ্ট ২০২২ঃ
বাংলাদেশ হাইকমিশন নাইরোবি আজ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী বিন¤্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে উদ্যাপন করে। এ উপলক্ষ্যে, হাই কমিশনার জনাব তারেক মোহাম্মদ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারির উপস্থিতিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে সকালের কর্মসূচী শুরু করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ৭৫ এর ১৫ ই আগষ্টের কালোরাতে ঘাতকের বুলেটে নিহত জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারবর্গসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালিত হয়। হাই কমিশনার এ সময়ে জাতির পিতার শৈশব, কৈশর ও রাজনৈতিক মহতী জীবনী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন এবং অমূল্য বাণীসমূহ আলোকচিত্রের মাধ্যমে দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রদর্শণের পর ১৯৩০ ঘটিকায় সান্ধ্যকালীন কর্মসূচী শুরু হয়। কেনিয়ার ৫ম জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী সপরিবারে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। জাতির পিতা ও ১৫ আগষ্টের কালোরাতে শাহাদতবরণকারী সকল শহীদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে এ কর্মসূচী শুরু হয়। জাতির পিতার গৌরবোজ্জ্বল জীবনের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণের পর আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচকগণ বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে আলোকপাতসহ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পূণর্গঠন ও বিশ্ব অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের ভ‚য়সী প্রশংসিত দিকসমূহ তুলে ধরেন।
হাই কমিশনার তাঁর সমাপণী বক্তব্যে জাতির পিতার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রাজ্ঞ রাষ্ট্রনীতি ও ক‚টনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, তিনি স্বাধীনতা উত্তর স্বনির্ভর ও উন্নত বাংলাদেশের রূপকার। তিনি উল্লেখ করেন যে, ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শ এবং দর্শণকে হত্যা করতে পারেনি। তাঁর দেখানো পথে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের পথে অনেকদূর নিয়ে গেছেন। তিনি রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
পরিশেষে উপস্থিত সকলের আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।