জেনেভা, ০৭ অক্টোবর ২০২০:
“বাংলাদেশের ওষুধ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হওয়ায় বিশ্ব বাজারে তার যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। প্রযুক্তিগত ও প্যাটেন্ট সুবিধা পেলে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প আবিষ্কৃত কোভিড ভ্যাকসিন ব্যাপক হারে উৎপাদনের সক্ষমতা রাখে।”- জেনেভাস্থ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের এক বিশেষ সভায় এ কথা বলেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত ও সঠিক সিদ্ধান্ত এবং যথাযথ দিক-নির্দেশনায় বাংলাদেশ সফলতার সাথে করোনা সংকট মোকাবিলা করছে বলেও উল্লেখ করেন।
সভায় কোভিড-১৯-এর উপর গৃহীত কার্যক্রমের উপর আলোচনাকালে স্থায়ী প্রতিনিধি কোভিড ভ্যাকসিনের সর্বজনীন, সময়োপযোগী, সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টন এবং সুষম অধিগম্যতা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেদৃশ্যমান ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে আহবান জানান। চলমান মহামারিবিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলোকে উন্মোচিত করেছে মর্মে উল্লেখ করে তিনি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহের চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালীকরণের উপর জোর দেন।তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কোভিড-১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব নিরূপণ ও তা হ্রাসকল্পে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে যথাযথ সহায়তা প্রদানেরও আহবান জানান। এছাড়াও কোভিড-১৯ মোকাবেলার পাশাপাশি তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলো অর্জনে সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে বলেন।
সভার দ্বিতীয় দিনে মহামারির প্রস্তুতি ও মোকাবেলা বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নবগঠিত প্যানেলের (IPPPR) কার্যক্রমের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে স্থায়ী প্রতিনিধি ভবিষ্যতে এ ধরনের মহামারি প্রতিহত করণে আগাম সতর্কতামূলক উপায় বের করার পাশাপাশি কার্যকর সমাধান খোঁজার উপর গুরুত্বারোপ করেন। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক এবং লাইবেরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এলেন জনসন স্যারলিফ এই প্যানেলের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ০৫-০৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভাস্থ সদরদপ্তরে নির্বাহী বোর্ডের ৫ম বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।