২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার:
যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, স্টকহোমে গণহত্যা দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে ২৫ মার্চ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে নারকীয় ও বর্বরোচিত এই হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে অবহিত করা এবং ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয় সমূহ বক্তারা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত জনাব মেহ্দী হাসান তাঁর বক্তব্যের সূচনায় স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ২৫ মার্চের গণহত্যাকে শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসের কালো অধ্যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন। অতর্কিত সেই হামলার মাধ্যমে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের ভিতর দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনকে সমূলে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো, কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলো এবং দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে নিয়েছিলো বহু আকাঙ্খিত স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করার মধ্য দিয়েই আমরা একাত্তরের গণহত্যায় জীবনদানকারী প্রতিটি প্রাণের প্রতি জানাতে পারি আমাদের চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আলোচনা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের, বিশেষ করে এই দিনটিতে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।