১৭ মার্চ ২০২৩:
স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন– প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে উৎসব মুখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে দূতাবাসে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ১৭ই মার্চ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা কর্তৃক জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের সামরিক এটাশেসহ দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা তাঁর বক্তব্যে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেয়ার জন্য জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার পাশাপাশি ১৫ আগষ্ট নির্মম হত্যাকান্ডে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ক্রমঅগ্রসরমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত বলেন যে বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালো বাসতেন এবং শিশুদের অধিকার রক্ষায় ১৯৭৪ সালেই আইন প্রনয়ণ করেছেন।
সন্ধ্যা ৭.৩০টায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্রারম্ভে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এবং বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ঐতিহাসিক এ দিবস উপলক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশী শিশু কিশোরদের অংকিত ছবি এবং দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে দূতাবাস পরিবারের শিশুরা ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশী শিশুরা কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশন করে যা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানের শেষে রাষ্ট্রদূত সমবেত শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন এবং উপস্থিত শিশুদের মাঝে সনদ ও পুরষ্কার বিতরণ করেন। রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্ম ভবিষ্যত প্রজন্মের মাঝে প্রচার করার আহ্বান জানান।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবিদের আত্মার মাগফেরাত এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় যা শিশু সৈয়দ আবদুল্লাহ আলমান আহমেদ পরিচালনা করে। উপস্থিত অতিথিদের বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।