ঢাকা, ২১.০২.২০২০:
বাংলাদেশের শিক্ষিত যুবসমাজের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইউএনডিপির সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি উল্লেখ করেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির ফা-ের যথাযথ ব্যবহার করা হয়। ড. মোমেন আজ ঢাকায় গুলশানে সিক্র সিজনস হোটেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষ্যে ইউএনডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ মানুষের বয়স ২৫ বছরের নিচেয়। মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ ভাগ যুবক। এই জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকার দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে চায় যাতে তারা দেশে ও বিদেশে কাজ করতে পারে। তাছাড়া তারা যেন চাকুরি খোাঁজার পরিবর্তে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। বাংলাদেশে প্রায় ছয় লক্ষ আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছে। এখন সারা পৃথিবী তাদের কর্মক্ষেত্র এবং নিজের ঘরে বসেই তা করতে পারে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা উন্নয়নশীল দেশের জন্য প্রতি বছর ব্যয় করে প্রায় ১৫৬ বিলিয়ন ডলার; এলডিসিভূক্ত ৪৮ টি দেশের জন্য ব্যয় করে প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলার যা এসডিজি’ অর্জনে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৮%। একারণে এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাত, এনজিওসহ দেশী-বিদেশী অংশীদারিত্ব চায় সরকার। তিনি উল্লেখ করেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি সর্বোচ্চ যা বর্তমানে বর্তমানে ৮.১৫ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, যুবক বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের শুরুতে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাঁকে প্রেফতার করা হয়। ঠিক ৫১ বছর পরে ১৯৯৯ সালে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউএনডিপির ইউএন বাংলা ফ্রন্টের উদ্বোধন করেন। বাংলায় প্রকাশিত ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০১৯’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব বত্তৃতা করেন জাতিসংঘের সহকারী সেক্রোরি জেনারেল Kanni Wignaraja.