বাগদাদঃ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩:
আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি - মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলাদেশ দূতাবাস, বাগদাদ, ইরাক যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিবসটি পালন করে।
এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-এ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন UNESCO-Baghdad-এর জেষ্ঠ্য উপদেষ্টা জনাব টিমোথি মিজেন এবং বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ড. আইদা মোস্তফা সালমান। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ ও পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
দিবসের শুরুতে কালোব্যাজ ধারণ করে প্রভাত ফেরিতে অংশ নিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহিদ মিনারে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ ফজলুল বারী এর নেতৃত্বে অতিথিবৃন্দসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারর্বগ, ইরাকস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে দূতাবাস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বিশেষ অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় তাঁরা মাতৃভাষা সংরক্ষণ, প্রচার এবং বহুভাষিক শিক্ষা ব্যবস্থার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া, ইউনেস্কোর জেষ্ঠ্য উপদেষ্টা ইউনেস্কোর মহাপরিচালক কর্তৃক এ দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত বক্তব্যে শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর গুরুত্ব, ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সকল ভাষা শহিদ এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন। মাতৃভাষা এবং দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় সকল কে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান। একই সাথে ইউনেস্কো, বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সিভিল সোসাইটির সদস্যদের অংশগ্রহণের জন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজনে তাদেরকে সাথে পাওয়া যাবে।
আলোচনা পর্বের শেষে এই দিবসের প্রতিপাদ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি বহুভাষিক গান এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের অগ্রগতি এবং ইরাকস্থ সকল প্রবাসীদের নিরাপদ জীবন কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অবশেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ।