আজ ০৫ আগস্ট ২০২৩ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাস, বেইজিং-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং ১৯৭৫ সালের ১৫-ই আগস্ট ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের বিদেহী আত্মার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জসীম উদ্দিন, এনডিসি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন সম্পর্কে বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত তাঁর বিভিন্ন চারিত্রিক গুণাবলীর দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন। মাত্র ২৬ বছরের তাঁর জীবনটা ছিলো ঘটনাবহুল। তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন শেখ কামাল যে সময়টার মানুষ ছিলেন, সে সময় থেকে তিনি চিন্তা ও প্রজ্ঞায় অনেক এগিয়ে ছিলেন। গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন যে, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক জগতে তার অবদান অসীম এবং তারুণ্যের কাছে তিনি শক্তি ও অনুপ্রেরণার এক নাম হয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷৷
রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা' বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন এবং তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান। আলোচনায় চীনে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল জীবনভিত্তিক চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা যোগ দেন।