কলম্বো, ৭ আগস্ট ২০২৩:
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শ্রীলংকায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। অতঃপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে তাঁর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে শাহাদৎ বরণকারী তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দের রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনাচরণ, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসামান্য ভূমিকা এবং সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা শেখ কামালের জীবন, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সাহসিকতাপূর্ণ অবদান, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে দেশ গঠনে তাঁর ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন। হাই কমিশনার তারেক মোঃ আরিফুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। হাই কমিশনার তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট এর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতা-পূর্ব ও স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে শেখ কামাল এর অসামান্য অবদান এবং এসব অবদানের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা স্মরণ করেন। তিনি শেখ কামালের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৎকালীন তরুণ সমাজকে নেতৃত্ব প্রদানে তাঁর ভূমিকার উপর আলোকপাত করেন। তিনি তারুণ্যের প্রতীক হিসাবে শেখ কামালের দেশ গঠনের আদর্শে বর্তমানের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।