২২ মে ২০২৩ :
গত ২১ মে ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ দূতাবাস, বেইজিং-এ বর্ণিল ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপিত হয়। পুরো দূতাবাস প্রাঙ্গন বিভিন্ন রঙ বেরঙ-এর ব্যানার, ফেস্টুন, বৈশাখী আলপনা, দেশীয় পালকি ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়।
দূতাবাস প্রাঙ্গনে সকালে দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহনে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনটি শুরু হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত মোঃ জসীম উদ্দিন, এনডিসি বিদেশী কূটনীতিকদের দূতাবাস আয়োজিত বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল ঘুরে দেখান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মোঃ জসীম উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন যে, বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে বাংলাদেশের সবাই উদযাপন করে। এ দিনটি উদাযপনের মধ্যে দিয়ে পুরনো বছরকে বিদায় জানানো হয় আর নতুন আশা নিয়ে নতুন বছরকে আলিঙ্গন করে নেয়া হয় । তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে “ Intangible Cultural Heritage” এর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা হয় যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক বড় স্বীকৃতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাংস্কৃতিক কূটনীতির এক অনন্য সাফল্য ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। দূতাবাস পরিবার ও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে বাংলাদেশী গান ও দৃষ্টিনন্দন নাচের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশী অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে দেশীয় হরেক রকমের মুখরোচক পিঠা, ভর্তা ও পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিদেশী কূটনীতিক, বেইজিংস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য, শিক্ষার্থী, দূতাবাস পরিবারের সবাই স্বতঃসস্ফুর্তভাবে উৎসবে যোগদান করেন।