18 ডিসেম্বর, মরিশাস:
বাংলাদেশ হাইকমিশন পোর্ট লুইস , মরিশাস “থাকব ভালো, রাখব ভালো দেশ, বৈধপথে প্রবাসী আয়-গড়ব বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-2022 এবং অভিবাসী সপ্তাহ উদযাপন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; মাননীয় মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর বাণী পাঠ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রেমিট্যান্স সম্মাননা পুরস্কার, 202২ প্রদান করা হয় এবং প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
মান্যবর হাইকমিশনার মিজ রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যের প্রথমেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বলেন যে, বর্তমান সরকার প্রবাসী বান্ধব সরকার। বাংলাদেশ অবৈধ অভিবাসন উৎসাহিত করে না, সুশৃংখল, নিরাপদ এবং নিয়মিত অভিবাসনে বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার প্রবাসীদের সুবিধার্থে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে এবং প্রতিনিয়তই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ সরকার নগদ প্রণোদনা হিসেবে 2.5% ক্যাশ প্রদান করছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিদেশগামী ও প্রবাসফেরত কর্মীদের সাময়িক আবাসন সুবিধাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের জন্য ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে “বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার” স্থাপন করা হয়েছে। এ সেন্টারের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীগণ ন্যূনতম খরচে বিদেশে যাওয়ার সময় অথবা বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় সাময়িকভাবে অবস্থান করতে পারবেন।
এ দিবসকে উপলক্ষ্য করে বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের “রেমিট্যান্স সম্মাননা 202২” প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, মিশন এ বছর চতুর্থবারের মতো এ সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ বছর রেমিটেন্স সম্মাননা প্রাপ্তদের বিশেষ পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। মান্যবর হাইকমিশনার এ সম্মাননা তাঁদের হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে তাদের প্রতিশ্রুতি পুন:ব্যক্ত করেন এবং অংশগ্রহণকারী সকলেই এ ধরণের সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। হাইকমিশনার আরো বলেন যে পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রো রেল এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রথম টানেল স্থাপনের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন সরকারের অদম্য সাহস আর বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থাকে নির্দেশ করে। তাই সরকারের এই উন্নয়নে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন ও উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মাঝে আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের দেশীয় খাবার দ্বারা আপ্যায়ন করা হয়।