১৭ মার্চ ২০২৩:
আজ ১৭ই মার্চ ২০২৩ তারিখে বেইজিং-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জসীম উদ্দিন, এনডিসি কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সকালে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সন্ধ্যায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয় ।
এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রদূত মোঃ জসীম উদ্দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য-‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন' যথার্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর গভীর মমত্ববোধের কথা তুলে ধরেন এবং বলেন যে, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ চালিকাশক্তি এবং তারাই স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে দেশের জন্য অবদান রাখবে। আজকের নতুন প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রামের ইতিহাস জানে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করে সেজন্য তিনি অভিভাবকদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অনুষ্ঠানে উপস্থিত নতুন প্রজন্মের সদস্য ও সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির সদস্য, দূতাবাসের নতুন প্রজন্মের সদস্যরা ও দূতাবাস পরিবারের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাংকণ ও রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্য ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।