করাচি, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ঃ
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, করাচি ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে যথাযোগ্য মর্যাদা ও অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস পালনের প্রাক্কালে বিজয়ের মাসে উৎসব মুখর এক ‘বিজয় মেলা’র আয়োজন করে।
১৬ ডিসেম্বর ২০২২ দুপুর থেকে রাত নয় ঘটিকা পর্যন্ত গভীর ভাব-গাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ‘বিজয় মেলা’র আয়োজন করা হয়। বিজয় মেলা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ও মহান বিজয়কে উপজীব্য করে ভিডিও-চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবাই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ধারণ করে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে মেলার ভাব-গাম্ভীর্য ও গভীর দেশ-প্রেম ফুটিতে তোলেন। বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে দূতালয় প্রাঙ্গণ সুসজ্জিত করে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের ইতিহাসকে ফুটিয়ে তোলা হয়। সাংস্কৃতিক অংশে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়। স্বাধীনতাভিত্তিক কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তিনটি বয়সভিত্তিক বিভাগে শিশু-কিশোর, মহিলা ও পুরুষ প্রতিযোগীতের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিজয় মেলায় উপস্থিত সকলেই অত্যন্ত আনন্দমূখর পরিবেশে প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির মহান বিজয় উদ্যাপন করেন এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং উপভোগ করেন।
‘বিজয় মেলা’ আয়োজনের অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনার তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন যে, মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতীয় জীবনের এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। গভীর শ্রদ্ধা ও বিনম্র কৃতজ্ঞতায় তিনি স্মরণ করেন যে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগে এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীর বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
উপ-হাইকমিশনার গভীর কৃতজ্ঞতাভরে উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছে বলেই আজ বাংলাদেশ প্রতিটি খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ, মর্যাদাশীল দেশ। নিজেদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করে তিনি মন্তব্য করেন যে, গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুব্ধ হয়ে প্রাণপ্রিয় দেশমাতৃকার উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবারই দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম ‘বিজয় মেলা’য় আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। আগত সকল অতিথিদের আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে বিজয় মেলা অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।