Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 19th October 2022
Press Release

লিসবন-এ শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

 

লিসবন, ১৮ অক্টোবর ২০২২ :

 

বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন যথাযথ মর্যাদায় আজ (১৮ অক্টোবর ২০২২) এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে “শেখ রাসেল দিবস” উদযাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ সন্তান শহিদ শেখ রাসেল-এর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয়।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ শহিদ শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।      

 

পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে শহিদ শেখ রাসেল-এর জীবনের উপর এক আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচকগণ মত প্রকাশ করেন যে, যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতেন, তবে জাতি একজন দূরদর্শী নেতা পেত। বক্তারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কর্তৃক শেখ রাসেল-এর নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।  

 

রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় শান্তিবাদী, প্রগতিশীল দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী লেখক বার্ট্রান্ড রাসেল এর নামানুসারে পরিবারের সবচেয়ে আদরের কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রাখেছিলেন 'রাসেল'।  বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ সময়ই পাকিস্তানি শাসকচক্র কর্তৃক কারাবন্দী থাকতেন বলে শেখ রাসেল তার শৈশবের অধিকাংশ সময় পিতার সান্নিধ্য হতে বঞ্চিত হয়েছেন। রাষ্ট্রদূত গভীর দুঃখের সাথে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবারের অনান্য সদস্যদের সাথে শেখ রাসেল-এর শহিদ হবার কথা স্মরণ করে বলেন, ১০ বছর বয়সী একটি বালককে হত্যা করতে যাদের হাত কাপলো না তাতেই বোঝা যায় স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল সেই খুনি চক্রটি কতটা নির্মম ও বর্বর ছিল। সেই একই প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এখনো দেশবিরোধী নানাবিধ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত সকলকে সতর্ক করেন এবং সবাইকে একসাথে তাদের প্রতিরোধের আহবান জানান।  তিনি কামনা করেন, শেখ রাসেলের মত নিষ্পাপ আর সৎসাহসী মানুষ হিসেবে আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে। 

 

আলোচনা সভাশেষে শেখ রাসেল-এর জীবনের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

 

সবশেষে, শহিদ শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।    

2022-10-18
Download