Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 9th March 2021
Press Release

ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন

 

ইসলামাবাদ, ০৭ মার্চ, ২০২১:

 

বাংলাদেশ হাইকমিশন,ইসলামাবাদ যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ, উদ্দীপনায় ওবিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করেছেএবংজাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গন বর্নাঢ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়।

 

সকালেদূতালয় প্রাঙ্গনে হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।হাইকমিশনারের নেতৃত্বে হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রমানাকৃতির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

 

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শুরু হয় এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।আলোচনা পর্বের শুরুতে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোঃ সানাউল্লাহ এবং সার্কোর (SAARC Arbitration Council) মহাপরিচালক জনাব মোঃ হেলাল চৌধুরী ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা যুদ্ধের সামরিক ও কৌশলগতদিক নিয়ে আলোচনা করেন। 

 

সমাপনী বক্তৃতায় মান্যবর হাইকমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি। এ কারণে এ বছর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। হাইকমিশনার ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারী হেরিটেজ হিসাবে মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির ইতিহাসবিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।  তিনি বলেন, পঞ্চাশ বছর পরেও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণ আমাদের উদ্বেলিত করে।

 

 তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ই মার্চের বক্তৃতায় মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলেছেন। দলমত ও বয়স সবকিছুর নির্বিশেষে বাংলার মানুষ এই ভাষণের ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। এর একমাত্র কারণ ছিল ভাষণের গণতান্ত্রিক ও মানবিক মানদন্ড। এ ভাষণই সকল বাঙ্গালীকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এর ফলে মাত্র নয় মাসে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

 

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ বিগত ৫০ বছরে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন একটি উন্নয়নশীল দেশ। পঞ্চাশ বছর আগে জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে উন্নয়নের যে ভিত্তি স্থাপন করে গিয়েছেন তারই ধারাবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী  প্রজ্ঞা নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনার মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন করেছেন এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের

 

লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যার যার অবস্থানে থেকে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞাননির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ভেদাভেদ ভুলে সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

 

আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।

2021-03-07
Download