আঙ্কারা, ১০ জানুয়ারি ২০২৩ঃ
আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন করা হয়। দূতাবাসের ”বিজয়-৭১ মিলনায়তন”-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অত:পর দূতাবাসে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনার শুরুতে ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স শাহ্নাজ গাজী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মোঃ রাশেদ ইকবাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের উপর নির্মিত একটি তথ্যবহুল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
আলোচনা পর্বে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অত:পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অসামান্য নেতৃত্ব গুণ এবং তাঁর অতুলনীয় অবদানের কথা গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর “সোনার বাংলা” গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গী শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের কথা বর্ণনাপূর্বক ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তান কারাগার হতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনে এবং তাঁর স্বপ্নপূরণে বঙ্গবন্ধ‚ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়োসী প্রশংসা করে বলেন বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে দীপ্তগতিতে এগিয়ে যাওয়া দ্রুত অগ্রসরমান একটি অর্থনৈতক শক্তি। চলমান অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাতের উন্নয়ন আজ চোখে পড়ার মতো যা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে রোল মডেলে পরিনত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে ভিশন-২০৪১ এবং ডেলটা প্লান লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে বলে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং এ অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তাঁর বক্তব্যের পরিসমাপ্তি করেন।