ইস্তাম্বুল, ১৫আগস্ট ২০২০:
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুল যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করে ।মিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসীদের অংশগ্রহণে জাতির জনকের গৌরবময় জীবন ও কর্মের উপর এক উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ই আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের ও জনগণের শান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে ইস্তাম্বুলস্থ খ্যাতমান একাডেমিশিয়ান ও গণমাধ্যম ব্যক্তিদের নিয়ে ‘একজন নেতা এবং একটি জাতির জন্ম’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয় । কনসাল জেনারেলমোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উক্ত ওয়েবিনারেবক্তব্য রাখেন প্রফেরসর ড. বেটুল চতুকসকেন,ভাইস রেক্টর, মালতেপে বিশ্ববিদ্যালয়, জনাব তাহা আইহান, প্রেসিডেন্ট, ইসলামিককো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আই.সি.ওয়াই.এফ), মিজ সিবেল গুনেস, সাধারণ সম্পাদক, টার্কিশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশান, ড. হায়রুনিসা আল্প, ভাইস ম্যানেজার, আতাতুর্ক সেন্টার ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়, জনাব দোয়ান সাতমুল, তুর্কী প্রেস কাউন্সিলের বোর্ড মেম্বার, মিজ ডেরিয়া আলতায়, ফরেন নিউজ কোর্ডিনেটর, এনটিভি এবংমিজ সেয়মা নাযলি গুরবুয, সাংবাদিক, ডেইলি সাবাহ। এছাড়া অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়েছিলেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক, ব্যবাসায়ি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং তুরস্করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আলোচকবৃন্দ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ভূমিকা ও অবদানের কথা স্মরণ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সকল প্রকার শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন।তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন ও দূরদর্শিতা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে চিরদিনের জন্য বেঁচে থাকবে এবং তাদেরকে শক্তি, সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগাবে ।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বিরাজমান অফুরন্ত সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে, বক্তারা করোনার মহামারীর এ সময়ে দু′দেশের মধ্যেকার সহযোগিতা আরো গভীর ও প্রসারিত করার উপর জোর দেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ′মুজিব বর্ষ′ উদযাপনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের জনগণের মধ্যেকার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক, বোঝাপড়া ও যোগাযোগ আরো নিবিঢ় ও শক্তিশালী হবে ।