আজ ৭ই মার্চ ২০২৩ তারিখে বেইজিং-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত হয়। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জসীম উদ্দিন, এনডিসি কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সকালে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহিদ ও সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।
দিবসটির তাৎপর্য আলোচনায় রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ই মার্চের বজ্রকণ্ঠে দেয়া ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। তার এ ঐতিহাসিক ভাষণ সে সময় দেশের সর্বস্তরের জনগণকে স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে উজ্জীবিত করে। সে ভাষণের ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাঙালী পায় তাদের বহু কাক্ষিত স্বাধীনতা। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়েও এই ঐতিহাসিক ভাষণটি বাঙালির হৃদয়ে শিহরন জাগায় এবং মানুষকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ৭ই মার্চের এই ভাষণকে 'বিশ্ব- ঐতিহ্য দলিল' হিসেবে স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য সম্মান ও গৌরবের। রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ কেবল বাংলাদেশের নয় বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। তিনি স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান। অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।