ম্যানচেষ্টার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩:
বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, ম্যানচেষ্টারে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ করে শোনানো হয়। ১৯৭১ সালের চ‚ড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক নির্মমভাবে নিহত দেশের শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু বুদ্ধিজীবী, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সহকারী হাই-কমিশনার দিবসটি উপলক্ষ্যে উল্লেখ করেন যে, বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করার হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শাসম বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যাকান্ড ছিল বাঙালী জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি ও বাঙ্গালীর মেধাশূণ্য করার কাঠামোগত হীন প্রয়াস। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানের কিছু আলোকচিত্র সদয় জ্ঞাতার্থে সংযুক্ত করা হলো।