করাচি, ১৮ অক্টোবর ২০২৩:
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, করাচি অদ্য রোজ বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এঁর ৬০ তম জন্মবার্ষিকীতে “শেখ রাসেল দিবস-২০২৩” যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং বিশেষ দোআ ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবসের অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করা হয়। অতঃপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর শহীদদের মহান স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম মিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ও আমন্ত্রিত অতিথিবর্গের উপস্থিতিতে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শিশু-কিশোরদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। শেখ রাসেলের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর প্রথম সচিব জনাব মোঃ আরিফ এলাহী এর সঞ্চালনায় এবং উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে দিবসটির উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উপ-হাইকমিশনার এস.এম. মাহবুবুল আলম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর সকল শহীদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ত্রিশ লক্ষ শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন যে, শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ - এর প্রতিপাদ্য – "শেখ রাসেল দিপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়" - এর মতোই শেখ রাসেল যেন চিরন্তন এক শিশুসত্ত্বা। শিশু শেখ রাসেল যেন চিরায়ত ও সার্বজনীন নিষ্পাপ শিশুদের প্রতিচ্ছবি। মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে যা ছিল পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসেও জঘন্য নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতা।
উপ-হাইকমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের শিশুরা আদর-সোহাগ, ভালোবাসা-মায়ায় বেড়ে উঠবে, আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে এবং বঙ্গবন্ধুর নিরক্ষরতা, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধশালী, প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও আত্ম-মর্যাদাশীল সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রত্যয়ী ভূমিকা রাখবে।