Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 9th August 2020
Press Release

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন বঙ্গমাতার আদর্শই হতে পারে বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার চাবিকাঠি -রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

 

নিউইয়র্ক, ০৮ আগস্ট ২০২০:

 

আজ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মেনে স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানের এ পর্বে।

আলোচনা পর্বের শুরুতে মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তাঁর অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ আর বঙ্গমাতার রেখে যাওয়া আদর্শ হতে বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রার চাবিকাঠি”।

স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, আমরা যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবি কিংবা তাঁর সম্পর্কে কথা বলি তখন স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে বঙ্গমাতার কথা। জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য থেকে নানা উদ্বৃতি উল্লেখপূর্বক বঙ্গমাতার যাপিত জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে -কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা দলীয় কর্মকান্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কীভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তাঁর সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন; ৬ দফা, ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে বঙ্গমাতা সাহস যুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমূখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন তার নানা দিক।

জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর প্রেক্ষাপটে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর এই আয়োজন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর আজকের এ ডিজিটাল পৃথিবী বঙ্গমাতাকে আরো নতুনভাবে জানবার ও হৃদয়ে ধারন করবার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোররা যাতে বঙ্গমাতা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে”।

আলোচনা পর্বে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। আলোচকগণ বঙ্গমাতাকে জাতির পিতার রাজনৈতিক সাফল্যের অনন্য উৎস বিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাঁরা বলেন, বঙ্গমাতা প্রকৃতই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একজন সহযোদ্ধা ও বিশ্বস্ত সহচর। সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পরতে পরতে বঙ্গমাতার ভূমিকা এবং তাঁর আদর্শ যুগে যুগে কালে কালে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে মর্মে উল্লেখ করেন আলোচকগণ।

2020-08-08
Press Release-34 on 90th Birth Anniversary of the Bangamata.pdf Press Release-34 on 90th Birth Anniversary of the Bangamata.pdf
Download