ঢাকা, ৩১ মার্চ ২০১৯:
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আগেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই সরকার। এ বিষয়ে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনসমূহ গত ১৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সারা বছর ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে দূতাবাসসমূহকে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানলে দেশকে জানা হবে, দেশের ইতিহাসকে জানা যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত জাতির জনকের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশেষ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে Secret Documents of Intelligence Branch on Father of the nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman vol-1 and 2 বইও বিতরণ করা হয়।
ড. মোমেন বলেন, গত দশ বছরে যে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে সেগুলো বিশ্বকে জানাতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশে-বিদেশে দু’বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিষয় জনগণকে জানানো হবে। এর মাধ্যমে জনগণকে জানানো যাবে আমরা কি অবস্থা থেকে বর্তমান অবস্থায় এসেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে একদিনের হুকুমে স্বাধীনতা আসেনি। দীর্ঘ ২৪ বছরের নির্যাতন ও সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা সৃষ্টি হয়েেেছ। আর সেই সৃষ্টির নায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অনেক রাজা-বাদশা এসেছে, কিন্তু কেউ এদেশের স্বাধীনতা আনতে পারেনি; স্বাধীনতা এনেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর বড় কীর্তি হচেছ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশ যতদিন টিকে থাকবে, বঙ্গবন্ধু ততদিন টিকে থাকবে। তিনি সারা জীবন ন্যায় ও নির্যাতিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন। ড. মোমেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে ন্যায় ও জনগণের মঙ্গল প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ করা এবং বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো অখতারুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো: রহমত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাবেক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাইমা হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্চিনিয়ার আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।