১৮ ই অক্টোবর, ২০২২:
বাংলাদেশ দূতাবাস, বাগদাদ, ইরাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের জন্মদিন শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে।
দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ ফজলুল বারী। দূতাবাস চত্ত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে সপরিবারে কর্মকর্তা কর্মচারী ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইরাক প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন। তারপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্টানে আলোচনা সভা ও শেখ রাসেল এর উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনাপর্বে বক্তারা শিশু রাসেলকে হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান দিয়ে দেশ গড়ার জন্য সকলকে নিয়োজিত করার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান। মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তৃতায় বলেন, প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস পালনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কর্ণধার তথা বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে / শিশু কিশোরদেরকে উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয়ে শিশু কিশোরদের মাঝে শেখ রাসেলের স্মৃতি অম্লান থাকবে। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের উপোযুক্ত ভবিষৎ গড়ে তোলার আহবান জানান। এ উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্ট কাল রাত্রে নৃশংস হত্যাযজ্ঞে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সভায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেবার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস বাগদাদের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের প্রথমবারের মত কুর্দিশ ভাষায় অনুবাদ করে তা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করায় এবং আরবী ভাষায় পুনর্মূদ্রণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।