২৫ মার্চ ২০২৩:

আজ ২৫ মার্চ ২০২৩ তারিখে বেইজিং-এ যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ২৫ শে মার্চ কালো রাতে নিহত সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত এর মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয় এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। 

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জসীম উদ্দিন দিবসটি নিয়ে তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালো রাতের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সুপরিকল্পিতভাবে ‘অপারেশন সার্চলাইট' নামে এক নির্মম হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে। তিনি আরও বলেন যে, ২৫ শে মার্চ রাতের গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেরও একটি কালো অধ্যায়। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। তিনি জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে তার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ভিশন-২০৪১, ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ' এর কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। 

এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে গণহত্যার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।