তাসখন্দ, ১৮ অক্টোবর ২০২৩:
আজ ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ বাংলাদেশ দূতাবাস, তাসখন্দে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস ২০২৩। এ উপলক্ষ্যে উজবেকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, গবেষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং সাংবাদিক ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
এ উপলক্ষে মান্যবর রাষ্ট্রদূত, আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথি, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এরপর এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাগন। এছাড়াও, এ দিবস উপলক্ষে শেখ রাসেলের জীবনী নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও থিম সং পরিবেশন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুর ইসলাম স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিবসে বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার রক্ষা ও নিরাপত্তার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন । শিশু-কিশোরদের পৃথিবীর ভবিষ্যত হিসেবে আখ্যায়িত করে শিশুদের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এ লক্ষ্যে সকলকে আরো উদ্যোগী ও কার্যকরী অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান।
শেখ রাসেল দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে “ শেখ রাসেল দিপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়” এ প্রতিপাদ্যের আলোকে Uzbekistan State University of World Language এর শিক্ষক Kamola Alimova এবং Djamilya Abduganieva, University of World Economy and Diplomacy of Uzbekistan এর শিক্ষক Etibov Sultonova এবং সাংবাদিক Shukurova Gulmira এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অতিথিরা বক্তব্য প্রদান করেন। Barkamol Avlod স্কুল এবং Uzbekistan State University of World Language হতে আগত শিক্ষার্থীগন শিশু রাসেলের নির্মম হত্যার কথা স্মরণ করে ভবিষ্যতে কিভাবে সকলের জন্য একটি শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলা যায় সে বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। এছাড়া, Uzbekistan State University of World Language এর প্রফেসর Begoyim Yolbekova বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁর উপর একটি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।
শহিদ শেখ রাসেল, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।