ম্যানচেষ্টার, ২৮ জুন ২০২২:
যুক্তরাজ্যের বৃহত্তর ম্যানচেষ্টারে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের সংযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ম্যানচেষ্টারের সাথে সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরের সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহত্তর ম্যানচেষ্টার কাউন্সিল এবং ম্যানচেষ্টারস্থ সহকারী হাই-কমিশন আরো নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
০২. সহকারী হাই-কমিশনার জনাব কাজী জিয়াউল হাসান বৃহত্তর ম্যানচেষ্টারের মেয়র অ্যান্ডি বার্নহামের সাথে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। উভয়েই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যকার চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
০৩. সহকারী হাই-কমিশনার এবং মেয়র ম্যানচেষ্টার বাংলাদেশের বৃহৎ শহরগুলোর মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (waste management), জলবায়ু প্রভাব (climate impact), পরিচ্ছন্ন বাতাস (clean air) সবুজ অর্থনীতি (green economy), বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও জনযোগ সূত্রসহ সকল বিষয়ে অংশীদারীত্ব বৃদ্ধিতে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সংকল্প ব্যক্ত করেন।
০৪. ২০২২ এর শেষার্ধে ম্যানচেষ্টার মেয়র একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগ, সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিকল্পে সহযোগিতা সম্প্রসারণ, নার্সিং প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে মেয়র ফলপ্রসূ আলোচনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
০৫. ম্যানচেষ্টারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিভিন্ন পেশার বাংলাদেশী নাগরিক বসবাস করছেন, যারা ম্যানচেষ্টারের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছেন। যুক্তরাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। জনযোগ সূত্র বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকরা আরো নিবিড়ভাবে কাজ করবেন মর্মে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
০৬. ম্যানচেষ্টারস্থ তৃতীয়/চতুর্থ প্রজম্মের বৃটিশ-বাংলাদেশী তরুণদেরকে মূলধারার বৃটিশ রাজনীতি, অর্থনীতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রক্রিয়ায় অধিকতর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রণোদনা বা যুৎসই প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কি না এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সহকারী হাই-কমিশনার মেয়রকে অনুরোধ করেন। নতুন প্রজম্মের তরুণ সমাজকে দুই দেশের সেতু বন্ধনে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখতে উভয়ে কাজ করবেন মর্মে সংকল্প ব্যক্ত করেন।