হ্যানয়, ভিয়েতনাম ১০ জানুয়ারি ২০২৩:
বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয়, ভিয়েতনামে ১০ জানুয়ারি ২০২৩ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ চ্যান্সারী ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির সূচনা করেন । প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিনটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী অনুষ্ঠানে পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। শেষে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের উপর নির্মিত ডকুমেন্টরী প্রদর্শন করা হয় এবং আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। ভিয়েতনামিজ অতিথি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবারবর্গ-এর উপস্থিতিতে দিবসটি চ্যান্সারীতে উদ্যাপিত হয়।
রাষ্ট্রদূত দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনার সূত্রপাত করেন । বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নের্তৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালী জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। মহান নেতার আগমনে আগমনে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসুরী তাঁর কন্যা-মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ’টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে জনসাধারনের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও উন্নত প্রযুক্তির মেট্রোরেল যা যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর নির্মিত ডকুমেন্টরী প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ধন্যবাদ ও বাংলাদেশী খাবার আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।